লাভ বার্ডের বেসিক তথ্য

আজকে লাভ বার্ড নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
love bird আমাদের অতি পরিচিত একটি পাখি।যাকে আমরা অনেকে ভালোবাসার পাখি নামেও ডাকে থাকি। love bird কে তৈরি করা হয়েছে খাচায় বংশ বিস্তার করার জন্য এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। love bird অনেক ভীতূ প্রজাতির একটি পাখি। love bird অনেক সহজেই ভয় পেয়ে জায়। আর বেসি ভয় পেলে love bird কে ব্রিড করাতে অনেক সমস্যার সম্মখীন হতে হয়। love bird এর খাচার সামনে বা আসে পাসে বিড়াল,ইদুর,টিকটিকি like এসব অনেক বেশি ভয় পায়। তাই love bird এর খাচায় আলাদা করে নেট লাগিয়ে নিলে ভালো হয়।এতে দুই ধরনের সুবিধা হয়।

১/পাখিদের টিকটিকি,তেলাপোকা,ইদুর,বিড়াল এর হাত থেকে রহ্মা পাওয়া। জায় আর
২/ পাখি কখনো খাচা থেকে বের হয়ে গেলেও উরে চলে জেতে পারে না।

কিছু দিন আগে আমার ও ফিমেল পাখি টা উরে চলে গেছে খাচায় আলাদা করে নেট না লাগার কারনে।আশা করি আপনারা আপনাদের শখের পাখির খাচায় একটা নেট লাগিয়ে নিবেন এতে আপনাদেরই লাভ হবে দুই ভাবে সেফটি পাবেন তাহলে।

love birds এর খাবারঃ  love bird এর সিড মিক্স যে ভাবে তৈরি করবো।
১।বড় ধান
২।সূর্যমুখির বীজ
৩।কুসুমফুলের বীজ
৪।চিনা
৫।সাদা গম
৬।কেনারি সিড
৭।তিশি
৮।চিনা
এসব প্রতি দিন মিক্স করে দিলেই হবে। ২৮ নাম্বার ধান বেস্ট। কারন love bird ২৮ নাম্বার ধান বেশি পছন্দ করে।  যাদের love bird চিনা বেশি খায় তারা ধানের বদলে চিনা বাড়িয়ে দিন। খাবারের সাথে একটা জাত নিমের ডাল রাখলে হবে হয় এতে খাবারে পোকা ধরে না। love bird কে সপ্তাহে ২/৩ দিন শাখসবজি খাওয়ালে ভালো হয় । যেমন: কলমি শাখ,পুইশাখ,বরবটি,পুদিনা পাতা,সজনে পাতা,নিত পাতা এসব দিনে একবার দিতে হবে।

love bird একটু বেশি লাফালাফি করে তাই তাদের খাচা ৩৬” ২৪” ২৪” হওয়া দরকার কিন্তু ব্রিডিং এর জন্য ২৪” ২৪” ২৪” হওয়া টা বেস্ট।

love birds এর মেইল ফিমেল চিনা টা অনেক কঠিন তবে কিছু উপায় বলা হলোঃ


১।একই বয়সের female love bird, male love bird এর থেকে একটু বেসি বড় হয়।
২।মেইল love bird এর মাথা একটু গোলকার হয়।
আর ফিমেইল এর সমান বা ফ্লাট থাকে।
৩।মেইল দের লেজ সাধারনত ‘V’ শেপ এর মত হয়।আর ফিমেইল দের ‘U’ শেপ এর মত হয়।
৪।বেশির ভাগ সময় মেইল পাখিটি ফিমেইল পাখি টিকে খাইয়ে দিবে।
৫। সব থেকে সহজ পদ্ধতি হলো পেলভিক বোন টেস্ট করা।পাখির ভেন্ট এ দুটি লম্বা হাড়ের নাম পেলভিক বন।এ দুটি হাড়ের মদ্ধ্য দিয়ে ডিম আসে বলে ফিমেল পাখির পেলভিক বোনে যতেষ্ট গেপ থাকে প্রায় আঙ্গুল বশে জাওয়ার মতন।কিন্তু মেইল পাখি হাড়ের মাঝখানে কোন ফাকা থাকে না।
তাই ভেন্ট এরিয়ে খুব সহজে মেইল ফিমেইল নির্ধারন করা সম্ভব।
ফিমেইল এর পেলভিক বোনের মাঝখানে বেসি ফাকা থাকার জন্য ফিমেইল পা ছরিয়ে বসে।
আর মেইল রা পা সরু করে বসে।
এভাবে অনেক সহজেই মেইল ফিমেই বোঝা জায়।
ফেছবুকে তো অনেক বড় ছোট ব্রিডার রা আছেন ভাই।
যদি বেশি বা কম বলে থাকি তাহলে সরি আছি ।
আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমার Rana Vaiya কে…
তারপর Fardin vaiya …
তারপর sawon vaiya…
তারপর Shahriar vaiya …
কারন তারা আমাকে অনেক বেসি helps করেন।🙂
আর নিজের ছোট ভাই এর মত দেখেন সব সময়।
ভুল,ভ্রান্তি,হ্মমা ভালো চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ।

Author: ভাঙ্গা রং পেন্সিল